Summary
রূঢ়ি শব্দ: এটি এমন শব্দ, যা প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য অর্থ প্রকাশ করে।
- হস্তী: হস্ত + ইন, যা 'হস্ত আছে যার' বোঝালে, আসলে একটি পশুকে নির্দেশ করে।
- গবেষণা: গো + এষণা, যার অর্থ 'গরু খোঁজা', কিন্তু বর্তমানে এটি ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা বোঝায়।
- বাঁশি: বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনো বস্তু নয়, এটি একটি সুরের বিশেষ বাদ্যযন্ত্র।
- তৈল: ইউদ্ধরাজাত স্নেহ পদার্থ নয়, বরং যে কোনো উদ্ভিজ্জ পদার্থজাত স্নেহ পদার্থ বোঝায়।
- প্রবীণ: প্রকৃষ্টভাবে বীণা বাজাতে সক্ষম হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি 'অভিজ্ঞতাসম্পন্ন- বয়স্ক ব্যক্তি' হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- সন্দেশ: সূত্র ও প্রত্যয়গত অর্থে 'সংবাদ', কিন্তু রূঢ়ি অর্থে 'মিষ্টান্ন বিশেষ'।
রূঢ়ি শব্দ : যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে। যেমন—হস্তী=হস্ত + ইন, অর্থ-হস্ত আছে যার; কিন্তু হস্তী বলতে একটি পশুকে বোঝায়। গবেষণা (গো+এষণা) অর্থ— গরু খোঁজা। বর্তমান অর্থ ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
এ রকম-
বাঁশি বাঁশ দিয়ে তৈরি যে কোনো বস্তু নয়, শব্দটি সুরের বিশেষ বাদ্যযন্ত্র, বিশেষ অর্থে প্রযুক্ত হয় ।
তৈল শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, শব্দটি যে কোনো উদ্ভিজ্জ পদার্থজাত স্নেহ পদার্থকে বোঝায়। যেমন- বাদাম-তেল।
প্রবীণ শব্দটির অর্থ হওয়া উচিত ছিল প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজাতে পারেন যিনি। কিন্তু শব্দটি ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন -বয়স্ক ব্যক্তি' অর্থে ব্যবহৃত হয় ।
সন্দেশ – শব্দ ও প্রত্যয়গত অর্থে ‘সংবাদ’। কিন্তু রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ'।
Read more